২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে দাকোপের বানিশান্তা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন সুদেব কুমার রায়। এই নিয়ে তিনি টানা তৃতীয় বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৫৬০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুধাংশু কুমার বৈদ্য আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯৯৯ ভোট। নির্বাচনে বিজয়ের খবর শোনার পরই ইউনিয়নবাসীর চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন সুদেব কুমার রায়।
ফলাফল ঘোষণার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সুদেব কুমার রায় বলেন, ”এইমাত্র বানিশান্তা ইউনিয়নের নির্বাচনের ফলাফল জানতে পারলাম। নৌকা প্রতীক বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে- এটা জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই আনন্দ উদযাপন করার আগে ধন্যবাদ দিতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যিনি আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে কৃতার্থ করেছেন, আমি স্মরণ করতে চাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, এই জাতির উদ্দেশ্যে যারা প্রাণ দিয়েছেন সকলের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি মনে করি আজকের এই বিজয় অত্যন্ত গর্বের। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন, তারা বর্তমান রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন থেকে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি এই যে বিজয়, তৃণমূলসহ সেই কেন্দ্র পর্যন্ত এর জোয়ার প্রবাহিত হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন এই দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা, আমরা যারা তৃণমূলে কাজ করি আমরা সেই আঙ্গিকেই কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের যে বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছেন, তৃণমূলে যে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ রয়েছেন তারাসহ নতুন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ সম্মিলিতভাবে আমরা সুন্দর একটি ইউনিয়ন তৈরি করতে পারব, ভবিষ্যতে এটাকে আমার যে স্বপ্ন একটা মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গঠন করার, আমি আমাদের এই প্রত্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই উন্নয়ন করতে পারব। ইতোমধ্যে বিগত দুই টার্ম আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। যখন আমি প্রথম শুরু করি তখন জিরো থেকে শুরু হয়। তারপরে আমি কাজ করতে করতে ইউনিয়নটি এখন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে। আমি আশা করি এই টার্মে জনগণের সব বড় চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারব।”
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা করা হয় এবং ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণের জন্যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে যায়। এরপর ২১ জুন ভোটগ্রহণের জন্যে দিন ঠিক করা হয়। জুনের প্রথম দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কারণে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ১৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে ১৬১ ইউপিতে ২০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।