সংক্রমণ মৃদু, মাঝারি বা জটিল, যে ধরনেরই হোক না কেন করোনা ভাইরাসের আক্রমণে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি করোনা সংক্রমণের ভেতর লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতে বড় ধরনের হৃদরোগের সম্ভাবনা। কারণ ভাইরাসটির আক্রমণে হৃৎপি-ও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত বুধবার এক গবেষণা রিপোর্টে এমনটিই জানিয়েছে ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)। প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া, ডা. এমভি পদ্মা শ্রীবাস্তব, ডা. অম্বুজ রায়, ডা. নীরজ নিশ্চল এ গবেষণা করেন। ভারতীয় নীতি আয়োগের উদ্যোগে দেশটির ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল গ্রান্ড রাউন্ডে এ বিষয় নিয়ে বুধবার পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনাও চলে।
ড. গুলেরিয়া বলেন, ‘করোনা নিজের চরিত্র বদলাচ্ছে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু নতুন উপসর্গ ধরা পড়ছে। একেক রোগীর একেক রকম উপসর্গ চোখে পড়ছে। প্রথমে ভাইরাল নিউমোনিয়া ভাবা হয়েছিল একে। পরে তা বিরাট আকার ধারণ করে। তাই এখনো করোনা নিয়ে গবেষণা শেষ হয়নি। শুধু ফুসফুস নয়, শরীরের অনেক অংশেই প্রভাব ফেলছে করোনা এবং তা দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এসিই-২ রেসপিরেটরসের মাধ্যমে
করোনা ভাইরাস শরীরের কোষগুলোতে পোঁছাচ্ছে। নাসারন্ধ্র ও ফুসফুসে এই এসিই-টুর উপস্থিতি আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। এসিই-২ শরীরে আর যেসব অঙ্গে বিদ্যমান, সেখানেই করোনা ছড়াতে পারে। ফলে সেসব অংশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
চিকিৎসকরা বলছেন, এ প্রবণতা বেশিরভাগ রোগীর মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। এর জন্যই রোগীদের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা দরকার ও ক্লিনিক্যাল টেস্ট দরকার। এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে চিকিৎসকদেরই। অ্যাসিমপ্টোম্যাটিক হলেও এ বিষয় নিয়ে সচেতন হওয়া দরকার। নয়তো ভবিষ্যতে বড় ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। খবর ন্যাশনাল হেরাল্ডের।