মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্তকে (সি আর দত্ত) শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে তার মরদেহের প্রতি ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মরদেহ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আনার পর সেনাবাহিনীর একটি দল সামরিক কায়দায় গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সি আর দত্তের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা, বাংলাদেশ দলিত পঞ্চায়েত ফোরাম, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, লালবাগ পূজা থানা কমিটি।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও শেষ শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধের এই সেক্টর কমান্ডারের প্রতি। এখানে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা শেষে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজারবাগ মহাশ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে সি আর দত্তের। করোনাভাইরাসের কারণে তাকে নিয়ে জাতীয় শহীদ মিনার ও হবিগঞ্জের প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে সি আর দত্তের মরদেহ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সর্বসাধারণের সম্মান জানানোর জন্য নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এখানেই শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে মুক্তিযুদ্ধের এই সেক্টর কমান্ডারের মরদেহ। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে উপস্থিত রয়েছেন বীর উত্তম সি আর দত্তের তিন মেয়ে, ছেলে, মেয়ের জামাতা ও নাতি-নাতনিরা। এর আগে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘর থেকে তার মরদেহ বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় নেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় সি আর দত্তের মরদেহ।