জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করেছেন দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল ওয়াদুদ।
উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে অবদান রাখায় তিনি এই বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৯-২০২০ অর্জন করেছেন।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দক্ষতা, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, সক্ষমতা, সচেতনতা, সদাচরণ, উদ্ভাবন, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতাসহ শুদ্ধাচার চর্চার বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ উপজেলা পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্র ও সমাজে কার্যকরভাবে ন্যায় ও সততা প্রতিষ্ঠা এবং সফলতার সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা শুদ্ধাচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। ব্যক্তিপর্যায়ে এর অর্থ হল কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা, তথা চরিত্রনিষ্ঠা।
এ সকল বিষয়ে পারদর্শিতা ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা পেলেন দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল ওয়াদুদ।
গত রবিবার (১২ জুলাই) খুলনা জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল ওয়াদুদের হাতে এই সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন।
মোঃ আবদুল ওয়াদুদ ২০১৮ সালে দাকোপ উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। বিসিএস ৩১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা দাকোপে মাত্র দুই বছর কার্যকালে উপজেলার সর্বস্তরের জনমানুষের মনে আস্থার প্রতীক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। অন্যদিকে দাকোপের তরুণরা তাকে তারুণ্যের আইকন মনে করে। মোঃ আবদুল ওয়াদুদ গত বছরও এই পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল ওয়াদুদের এই অর্জন এর স্বীকৃতি দাকোপের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করবে বলে মনে করেন দাকোপের বিশিষ্টজনেরা।
শুদ্ধাচারের কৌশল যখন একটি প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্তৃক নিষ্ঠার সাথে অনুসৃত হয় তখন তা সেই প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত ক্ষেত্রসমূহে প্রভাব বিস্তার করে। প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী কর্তৃক গৃহীত নীতি, পদক্ষেপ এবং লক্ষ্যই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রতিফলিত হয়। এর ইতিবাচক সুফল পেতে থাকে উক্ত প্রতিষ্ঠানাধীন সকল উপকারভোগী। সেই হিসেবে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আব্দুল ওয়াদুদের এই নীতিগত অবস্থানের সুফল সমগ্র দাকোপের জনগণের উপরই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে। এটা সমগ্র দাকোপের জনগণের জন্যই গর্বের।
এই দৃষ্ঠান্ত শুদ্ধাচারী জীবন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে । প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজে বিভিন্ন আইনকানুন, নিয়মনীতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পালন ও লালনের ক্ষেত্রে এই দৃষ্টান্ত ইতিবাচক এবং সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণ শোষণমুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।