এই মে মাস জুড়েই দাকোপে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় দকোপ ব্লাড ব্যাংকের নিবেদিতপ্রাণ তরুণদের রক্তদানের ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই এই সংগঠনের সদস্যদের সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে মুমূর্ষু রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর খবর থাকছে সোশাল মিডিয়া জুড়ে। তাদের ফেসবুক গ্রুপ সারাক্ষণ সক্রিয় রয়েছে পুরো প্রক্রিয়াটাকে বাধাহীন ভাবে এগিয়ে নিতে। এরই মধ্যে একজন নারী ডোনারও রক্তদান করেছেন সুদূর খুলনা থেকে এসে। তিনি রমজানের সিয়াম সাধনার মধ্যেই এই কষ্টসাধ্য উদ্যোগে সাড়া দিয়েছেন।
আজ রক্তদান করল দাকোপের বানীশান্তা ইউনিয়নের খেজুরিয়া গ্রামের পিনাক প্রামান্য। বয়সে নবীন পিনাকের এটাই প্রথম রক্তদান। আজ ২৮ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার সকালের বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বানিশান্তা ইউনিয়নের খেজুরিয়া গ্রাম থেকে সুদূর চালনা বাজারে এসে একজন মূমুর্ষ রোগী বাজুয়া ইউনিয়নের নিখিল বৈদ্যকে (৫৫) O+ রক্ত দান করেছে পিনাক। পিনাককে অভিনন্দন।
পিনাকের পিতার নাম সমর কান্তি প্রামান্য, মাতা অঞ্জলী প্রামান্য। পিনাকের আরও একটি বড় এবং গর্বিত পরিচয় রয়েছে। পিনাকের পিতামহ স্বর্গীয় গোপালচন্দ্র প্রামান্য দাকোপ থানার অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ খেজুরিয়া বীণাপাণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। অত্যন্ত বিনয়ী আর নম্রতার প্রতিমূর্তি ছিলেন শিক্ষক গোপালচন্দ্র প্রামান্য। বিদ্যা যে মানুষকে বিনয়ী করে তিনি ছিলেন তার জীবন্ত প্রতিমূর্তি। এমন একটি পরিবারের সন্তান পিনাক আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসবে সেটাই স্বাভাবিক। যখন চারিদিকে কতিপয় জনপ্রতিনিধিদের নানান অসাধু কর্মের খবরে মানুষ বিরক্ত, সেই সময়ে পিনাকদের এমন ত্যাগের দৃষ্টান্ত অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। এই মুহূর্তে পিনাককে নিয়ে গর্ব করতেই পারে খেজুরিয়াবাসী। পিনাকের ঊজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। পিনাকের মতো আরও নবীনরা এগিযে আসুক মানবসেবায় এই প্রত্যাশা।