বাগেরহাটের মোংলায় ইতালি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, বাহারাইন ও ভারত থেকে আসা ২৩৮ জন প্রবাসীর মধ্য থেকে মাত্র ১১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছে স্বাস্থ্য ও প্রসাশন বিভাগ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসা এ সকল লোকজনকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রভাব ঠেকাতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে দেশি বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ রয়েছে। এ ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে পুরো সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে বনবিভাগ।
করোনা সংক্রমণ রোধে বিদেশ হতে আসা প্রবাসীরা যেন নিজ নিজ বাড়ি-ঘর থেকে বের না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এবং ওই এলাকাগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জানান মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
অপরদিকে মোংলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জন সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরন করেছে প্রতিবন্ধীদের নারী সংগঠনের নেত্রীরা ও বিএএসডি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করে সচেতনতামূলক প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে বিদেশ হতে আসা ওই সকল লোকজনকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এবং ওই এলাকাগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে কেউ বাহিরে ঘোরাফেরা করলে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, চলতি মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোংলায় আসা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, বাহারাইন ও ভারত থেকে আসা ২৩৮ জনের তালিকা করা হয়েছে। তাদের কিছু সংখ্যক প্রবাসীকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। কেউ হোম কোয়ারেন্টিনের বাইরে আসলে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান তিনি।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতোষ বিশ্বাস বলেন, এ পর্যন্ত মোংলায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি। এমনকি বিদেশ ফেরতদের মধ্যেও কারো করোনা শনাক্ত হয়নি। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।