রক্তের জন্য ফোন পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে ছুটছেন দাকোপ ব্লাড ব্যাংকের তরুণরা

কৈলাশগঞ্জ গ্রামের ছেলে ত্রিদীপ বরকন্দাজ। পিতা পরিতোষ বরকন্দাজ, মাতা পূর্ণিমা বরকন্দাজ। রক্তের গ্রুপ O+। কিছু দিন আগেই যুক্ত হন দাকোপ ব্লাড ব্যাংকের সাথে। হঠাৎই জানতে পারেন একজন অসুস্থ ব্যক্তির জন্য জরুরি রক্তের প্রয়োজন। বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান, অপরদিকে দাদু অসুস্থ। কিন্তু সব কিছুকে উপেক্ষা করেই তিনি রক্তদানের মানবিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছুটে গেলেন চালনায়। জীবনে প্রথম বারের মতো রক্তদানের মাধ্যমে শুরু হলো তার লাল ভালোবাসার পথচলা।

আজ ১৫ জুন ২০২০ কৈলাশগঞ্জ থেকে ছুটে গিয়ে দাকোপ ব্লাড ব্যাংকের হয়ে আলসার ও রক্তশুন্যতায় অসুস্থ বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি গ্রামের নিখিল বৈদ্যকে (৫৫) রক্ত দান করেন ত্রিদীপ বরকন্দাজ।

জীবনে প্রথম বার রক্ত দানের অনুভূতি সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রথম রক্ত দান এজন্য খুবই ভয় লাগছিলো, কিন্তু গত রাতে দাকোপ ব্লাড ব্যাংক থেকে আমার বন্ধু সোহাগ শিকদারের ফোন পাওয়ার পর থেকে অধীর আগ্রহে ছিলাম এই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের জন্য, এই ভালোবাসার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।”

আসুস্থ ব্যক্তির এক স্বজনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, “আজ পর্যন্ত দাকোপ ব্লাড ব্যাংক আমার রোগির জন্য ৫ ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করে দিয়েছে। তাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।”

আরও পড়ুন

না ফেরার দেশে সমাজসেবক শিবপদ পোদ্দার

দাকোপ প্রতিদিন

গত শতাব্দীর প্রথমার্ধে কেমন ছিল বাজুয়া স্কুলের লেখাপড়া : বৈদ্যনাথ গাইনের স্মৃতিকথা

দাকোপ প্রতিদিন

‘ধর্ম চর্চার ক্ষেত্রে আমাদের উপলক্ষ লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে’— শ্রী নান্টু রায়

দাকোপ প্রতিদিন

আম্পানে বুলবুলের তুলনায় তিনগুণ বেশি ক্ষয়ক্ষতি সুন্দরবনে

দাকোপ প্রতিদিন

ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে “সচেতন দাকোপবাসী”র প্রচার বিমুখ কয়েকজন তরুণ

দাকোপ প্রতিদিন

মানবতার সেবায় দাকোপ ব্লাড-ব্যাংকের যাত্রা শুরু

দাকোপ প্রতিদিন

পিনাক কে নিয়ে গর্ব করতেই পারে খেজুুরিয়াবাসী

দাকোপ প্রতিদিন

বানিশান্তা ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করতে চান সুদেব কুমার রায় (ভিডিও)

দাকোপ প্রতিদিন

সৌমেনের ঋণ শোধ করতে পারবো না, একটা টাকাও সে নিল না গাড়িভাড়ার

দাকোপ প্রতিদিন