করোনাকালের এই পৃথিবীতে বদলে যাচ্ছে অনেককিছুই। গলির মোড়ের চিরচেনা দৃশ্য থেকে চিরন্তন সামাজিক সম্পর্ক, সবকিছুকে ওলটপালট করে দিয়েছে এই অদৃশ্য শত্রু । পরিবর্তনের এই ধারায় ফিরে এলো প্রাচীনকালের দ্রব্য বিনিময় প্রথাও। নড়াইলের এগারোখানের এক গ্রামের নির্দিষ্ট স্থানে হাট বসিয়ে শুরু হয়েছে গ্রামবাসীর এই দ্রব্য আদানপ্রদান।
নড়াইলের অলােকাপুরীর হাটে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করছেন স্থানীয়রা। সদর উপজেলার এগারােখানের বাকলী এলাকায় তুলারামপুর-শেখহাটী সড়কের পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ হাটের প্রবর্তক সমাজকর্মী বনানী বিশ্বাস। এ হাটে হাট করতে কোন টাকা-পয়সা লাগে না। বিনামূল্যেই মেলে সব ধরনের দ্রব্য সামগ্রী।
এ হাটের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী নিজেদের মাঝে বিনিময় করা। এলাকার লােকজন তাদের উৎপাদিত তরকারি, ফল সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্য ও খাদ্য সামগ্রী হাটে এনে নির্ধারিত স্থানে রাখেন। যার যতটুকু যে জিনিস প্রয়ােজন তিনি তা নিয়ে যান। এভাবেই চলছে অলােকাপুরীর হাট। প্রত্যেক শনিবারে এ হাট বসে। তবে যেসব জিনিস মানুষের অতীব প্রয়ােজনীয় কিন্তু স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় না, সে সব জিনিস ব্যক্তিগত অর্থে কিনে ওই হাটে সাজিয়ে রেখে দেন সমাজকর্মী বনানী বিশ্বাস। স্থানীয়রা তাদের প্রয়ােজনমত সীমিত আকারে ওইসব জিনিস নিয়ে যান। বিশেষ করে তেল, সাবান, লবণ ও বিভিন্ন ধরনের মসলা তিনি নিজস্ব অর্থে কিনে প্রতি হাটের দিন নির্ধারিত স্থানে সাজিয়ে রাখেন। শুধু ওই এলাকা নয়, গােটা নড়াইল জেলাবাসীর নিকট সময়ােপযােগী এ অলােকাপুরীর হাট এখন প্রশংসিত।