৮ এপ্রিল দেখা যাবে ‘সুপার পিঙ্ক মুন’

বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মানুষই গৃহবন্দি। আর এই গৃহবন্দি অবস্থাতেই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। আগামী ৮ এপ্রিল আকাশে দেখা যাবে বছরের সবথেকে বড় ও উজ্জ্বল চাঁদ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপার পিঙ্ক মুন’। ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে দেখা যাবে এই নান্দনিক দৃশ্য। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাত তারিখ সূর্যাস্তের পর এই সুপার মুন দেখা গেলেও বাংলাদেশে এই সময়টা পরের দিন সকালে হওয়ার কারণে আকাশে সূর্য থাকবে তাই এটা খালি চোখে দেখা যাবে না। ফলে ভরসা করতে হবে অনলাইনের উপরেই।

পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যবর্তী গড় দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। তবে এদিন চাঁদের গোলাপি আভা দেখা যাবে পৃথিবী থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৭ কিলোমিটার দূর থেকে। অর্থাৎ ওইদিন পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কমে যাবে ২৭ হাজার ৪৯৩ কিলোমিটার।

চাঁদ দেখতে যারা ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই সুপারমুন একটু বিশেষ। চলতি বছরের উজ্জ্বলতম এবং বৃহত্তম পূর্ণিমা হতে চলেছে এইটি। এপ্রিলের এই সুপারমুনকে ডা’কা হচ্ছে গোলাপি চাঁদ নামে।

সুপারমুন কী’’

সুপারমুনের (supermoon) কক্ষপথ পৃথিবীর নিকটতম। আমাদের গ্রহ থেকে এই নিকটতম দূরত্বের কারণেই চাঁদকে অনেক বড় এবং উজ্জ্বল দেখায়। এই মাসের সুপার পিঙ্ক মুন আমাদের গ্রহ থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৭ কিলোমিটার দূরে থাকছে।

তবে পূর্ণিমা হলেই যে সুপারমুন হবে, তা কিন্তু নয়। চাঁদ যে কক্ষপথ ধরে পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে তার আকার গোল নয়, উপবৃত্তাকার। আর এই উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরার জন্য সবসময় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব সমান থাকে না। যখন পৃথিবীর সবথেকে কাছে চাঁদ এসে পৌঁছয়, তখনই তাকে সুপার মুন বলে। অন্যদিকে চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব যখন সবথেকে বেশি হয়, তখন তাকে বলা হয় মাইক্রো মুন।

যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া ওয়েবসাইট সিনেট-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮ এপ্রিলের সুপারমুন এ বছরের সবচেয়ে বড় এবং উজ্জ্বলতম সুপারমুন হবে।

একে গোলাপি চাঁদ বলার কারণ

পূর্ণিমা’র চাঁদের নামকরণের বিষয়টি সাধারণত আমেরিকান অঞ্চল এবং ঋতুগুলোর ওপর নির্ভর করে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ‘গোলাপি চাঁদ’ নামটি গোলাপি ফুলের (Phlox subulata) নামের ওপর ভিত্তি করে দেয়া। এই ফুল উত্তর আমেরিকার পূর্ব দিকে বসন্তকালে ফোটে এবং এটি মোটেও চাঁদের রঙ নয়। পুরো গোলাকার চাঁদকে স্প্রাউটিং গ্রাস মুন, এগ মুন এবং ফিশ মুন নামেও ডা’কা হয়।

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি মাসে একটা সময় চাঁদ ও পৃথিবীর সূরত্ব সবথেকে কম হয়। তাই প্রতি মাসেই সুপার মুনের একটা আলাদা নাম থাকে। এ বছরও জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটা সুপার মুনের আলাদা নাম রয়েছে। জানুয়ারি মাসে বলা হয় উল্ফ মুন, ফেব্রুয়ারিতে বলা হয় স্নো মুন, মার্চে বলা হয় ওয়ার্ম মুন, এপ্রিল মাসের সুপার মুনের নাম পিঙ্ক মুন, মে মাসে বলা হয় ফ্লাওয়ার মুন, জুন মাসের নাম স্ট্রবেরি মুন, জুলাই মাসে একে বলা হয় বাক মুন, অগস্ট মাসের সুপার মুনের নাম স্টারজিয়ন মুন, সেপ্টেম্বর মাসের নাম কর্ন মুন, অক্টোবরে একে বলা হয় হান্টার্স মুন, নভেম্বরে এর নাম বিভার মুন ও ডিসেম্বরের সুপার মুনকে বলা হচ্ছে কোল্ড মুন। অর্থাৎ এ বছর কোনও ব্লাড মুন নেই, যা এই বছরের জন্য শুভ ইঙ্গিত।

২০২০ সালের শেষ সুপারমুন কখন দেখা গিয়েছিল

২০২০ সালের শেষ সুপারমুন ৯ মা’র্চ থেকে ১১ মা’র্চের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। মা’র্চের সুপারমুনকে ডা’কা হয়েছিল ‘সুপার ওয়ার্ম মুন (Worm Moon)’ নামে।

আরও পড়ুন

বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন ৪৬০০০ বছরের পাখির মৃতদেহ

দাকোপ প্রতিদিন

দেশে প্রথম করোনার টিকা নিলেন রুনু ভেরোনিকা কস্তা

দাকোপ প্রতিদিন

করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি রাশিয়ার

দাকোপ প্রতিদিন

স্মার্টফোনের কাঁচে চারদিন বেঁচে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস– বলছে সমীক্ষা

দাকোপ প্রতিদিন

আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে আবারও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, উদ্ভাবনীতে দেশসেরা

দাকোপ প্রতিদিন

খুলনা আইটি/হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

দাকোপ প্রতিদিন

গ্রীষ্মে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কমবে করোনার প্রকোপ এমন ধারণার কোনো ভিত্তি নেই

দাকোপ প্রতিদিন

জনপ্রিয় বাংলা টাইপ সফটওয়্যার ‘অভ্র’ আবিষ্কার করেও প্রচারের আড়ালে রয়ে গেলেন এই তরুণ ডাক্তার

দাকোপ প্রতিদিন

কিছুক্ষণ বাদেই দেখা যাবে ‘স্ট্রবেরি মুন’, ঘটতে যাচ্ছে বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্য

দাকোপ প্রতিদিন