প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সে জন্য এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে না। ধাপে ধাপে এগোতে চাচ্ছি। ভবিষ্যৎতো আমি ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। সেই কারণে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উন্মুক্ত করবো না। আমরা দেখি এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারলে পর্যায়ক্রমে আমরা তখন উন্মুক্ত করবো।
রোববার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের ফল ঘোষণা শেষে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।
পরে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফেসবুক লাইভে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে আমরা ধাপে ধাপে এগুতে চাচ্ছি। অফিস সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হয়েছে, গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই উন্মুক্ত করব না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে। আমার বিশ্বাস, এই করোনাভাইরাসের আঘাত থেকে শিগগিরই বিশ্ব মুক্তি পাবে, বাংলাদেশও মুক্তি পাবে। যেকোনো সংকটে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের আত্মবিশ্বাসটাই বড়। মনে রাখতে হবে, আমরা বিজয়ী জাতি। করোনাভাইরাসসহ যেকোনো দুর্যোগে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। যেকোনো ঝড়-ঝাপ্টা আসুক, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমরা মোকাবিলা করব। এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে অনুরোধ করবো সবাই যেন ঘরে বসে পড়াশোনা করে। এটা একটা পড়াশোনার ভালো সুযোগও। আমরা নিজেরাও, এখন বেশি কাজ নেই- অনেক কিছু জানার, পড়ার সুযোগ পাচ্ছি। সেটাও কম কথা না। এখানে আমি বলবো সবাই মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে। আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করবো তারা লেখাপড়া শিখবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। শিক্ষকদের বলবো তাদের সেই শিক্ষাই দেবেন এই শিক্ষাটা হচ্ছে শুধু নিজে ভালো থাকা না, দেশের কল্যাণে কাজ করা, মানুষের কল্যাণে কাজ করা। যেটা জাতির পিতা আমাদের বার বার শিখিয়েছেন।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৯ জন।