করোনা সন্দেহ, বৃদ্ধা মাকে ঘর থেকে বের করে দিল ছেলেরা

সুনামগঞ্জে অন্য জেলা থেকে আসা গার্মেন্টস কর্মীর বাড়িতে যাওয়ায় করোনা সন্দেহে বৃদ্ধা মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন ছেলেরা। ফলে গত দুইদিন ধরে ঘরের বাইরে ঘুরে ঘুরে খাবার সংগ্রহ করে জীবন পার করছেন অমত্য বালা দাস (৯০) নামে ওই বৃদ্ধা।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল শাল্লা উপজেলার সাংবাদিক জয়ন্ত সেন তার ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করলেও বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাল্লা উপজেলার হাবিবপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা অমত্য বালা দাস। দুই ছেলের জন্মের পর স্বামীকে হারান তিনি। দুই ছেলে জুগেশ দাশ ও রণধীর দাশকে কষ্ট করে মানুষ করেন। দুই ছেলে কৃষি কাজ করলেও তাদের পারিবারিক অবস্থা ভালো। দেশের অন্য জেলা থেকে শাল্লায় আসা গার্মেন্টস কর্মীর বাড়িতে যাওয়ায় প্রতিবেশীদের কথায় মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন দুই ছেলে।

ছেলেদের দাবি, করোনার মহামারির মধ্যে অন্য জেলা থেকে আসা মানুষের বাড়িতে যাওয়ার শাস্তি স্বরূপ তাকে বাড়ি বের করে দেয়া হয়েছে।

বৃদ্ধ অমত্য বাল দাশ বলেন, আমার কোনো করোনা নাই বাবা। আমি কারও বাড়িতেও যাই নাই। আমি বুড়া মানুষ হাঁটতে বের হইছিলাম। পরে ঘরে গেলে ছেলেরা আমারে মিথ্যা অপবাদ দিয়া ঘর থাকি বাহির করিয়া দিসে। গাঁওয়ের কেউ আমারে জায়গা দেয় না, খাওন দেয় না। তারা সবাই কয় আমি নাকি করোনা রোগী। এখন আমার ছেলেরা জায়গা দেয় না, বউরা খাওন দেয় না। গেলেই বলে তুমি দোষী ঘরে আইও না। এখন এক সবজি ব্যবসায়ী আমাকে একটা বেগুন দিলেও চাল কেউ দেয় নাই।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিক জয়ন্ত সেন বলেন, ওই নারীকে আমি রাস্তায় বসে থাকতে দেখে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি করোনা সন্দেহে ছেলেরা তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি উনার ছেলেদের কোনো অভাব অনটন নেই। তার ছেলেরা ও কিছু প্রতিবেশী মিলে এমন কুসংস্কারকে বিশ্বাস করে পুরো উপজেলায় বিষয়টি ছড়িয়ে দিয়েছে। যার কারণে ওই নারী এখন কোথাও খাবার পান না, আমি এখন উনাকে আমার ঘরে নিয়ে এসে চারটা ডাল-ভাত খাইয়েছি।

ওই নারীর দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে জুগেশ দাসের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, অন্য জেলা থেকে গ্রামে আসা গার্মেন্টস কর্মীর বাড়িতে যাওয়ার কারণে মাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তিনি তার শাস্তি ভোগ করছেন।

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-মুক্তাদির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। তিনি এখন ওই নারীর কাছে গিয়ে বিষয়টি দেখবেন। যদি বিষয়টি সত্যি হয় তাহলে আমরা ছেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরও পড়ুন

ডিজিটাল পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমান মূল্যায়নের ফল প্রকাশ

দাকোপ প্রতিদিন

সাবহানাজ রশিদ দিয়া ফেসবুকে বাংলাদেশ বিষয়ক যে কাজগুলো করবেন

দাকোপ প্রতিদিন

মানবতার সেবায় দাকোপ ব্লাড-ব্যাংকের যাত্রা শুরু

দাকোপ প্রতিদিন

করোনা প্রতিরোধে লাউডোব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে মাস্ক ও হাতধোয়ার সামগ্রী বিতরণ

দাকোপ প্রতিদিন

খুলনায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নারীসহ তিনজনের মৃত্যু

দাকোপ প্রতিদিন

দেশে আরো ৪৩৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত, মৃত্যু ৯ জনের

দাকোপ প্রতিদিন

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বানীশান্তা ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায়ের কার্যক্রম অব্যাহত

দাকোপ প্রতিদিন

বাগেরহাটের মোংলায় ১১০ জন হোম কোয়ারেন্টিনে

দাকোপ প্রতিদিন

দাকোপে চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন যারা

দাকোপ প্রতিদিন